Monday, July 29, 2019

নারীর জন্য অপমানজনক কাবিননামার ৫ নম্বর কলাম



মুসলিম বিয়েতে কাবিননামার ৫ নম্বর কলামে জানতে চাওয়া হয়েছে কনে কুমারী,বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত কি না? বিষয়টি নারীর জন্য অপমানজনক ও মানবাধিকারের লংঘন। ৫ নম্বর কলামের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
কাবিননামায় ৫ নম্বর কলামে নারীদের জন্য এ ধরনের তথ্য চাওয়া হলেও পুরুষের বেলায় এমন কিছু চাওয়া হয়নি। বিষয়টি নারীদের জন্য খুবই অসম্মানজনক, অপমানের এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন।কাবিননামার ৫ নম্বর কলামের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট করা হয়।১৬ জুলাই হাইকোর্টে এ রিটের শুনানি হয়।শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিবের মতামত জানতে চান। আদালত সোমবার ২২ জুলাই খতিবকে হাজির করে মতামত জানতে চেয়েছেন।
কাবিননামার এই ফরমটি মুসলিম পারিবারিক বিবাহ আইন ১৯৬১ সালের অরডিন্যান্সের আলোকে করা হয়েছে।ব্লাস্টের পক্ষে শুনানিতে থাকা আইনুন নাহার সিদ্দিকা বলেন,একজন নারী বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত কি না, এটা একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। এটা কাবিননামায় লেখার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।তিনি বলেন,নারীদের বেলায় কাবিনামায় এ ধরনের তথ্য থাকলেও পুরুষের বেলায় এ রকম কোনো কিছু লিখতে হয় না। তাই এটি চরম বৈষম্যমূলক। নারীদের জন্য অপমানজনক তো বটেই। মুসলিম বিবাহ হচ্ছে একটা চুক্তি উল্লেখ করে আইনুন নাহার সিদ্দিকা বলেন, মুসলিম বিবাহ হচ্ছে একটা চুক্তি সেখানে একজনের ব্যক্তিগত তথ্য কেন কাবিননামার মতো একটা পাবলিক ডকুমেন্টসে দেওয়া হবে? আর পুরুষদের বেলায় কেন তা হচ্ছে না।এই যুগেও কাবিননামায় এটি বিদ্যমান থাকবে তা মানা যায় না।ব্লাস্টের আরেক আইনজীবী বেলায়েত হোসেন ৫ নম্বর কলামের বিষয়ে আলেমদের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।

যেখানে আলেমরাই বলেছেন, কাবিননামায় এটা রাখার কোনো দরকার নেই। আলেমদের ইতিবাচক মন্তব্য পাওয়া গেছে। এখন শুধু চূড়ান্ত ফলাফলের অপেক্ষা।                                           ........../VOA. 

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: