
মাদ্রাসাগুলো হেরেমে পরিণত হয়েছে। আমরা
যতটুকু জানতে পারছি প্রকৃত অবস্থা আরো ভয়াবহ। মাদ্রাসার বালকদের খুব কমই
তাদের বড় হুজুর, বড় ভাইদের বলাৎকারের শিকার হওয়া থেকে বাঁচে। মহিলা
মাদ্রাসাগুলোতে চলা ধ*র্ষণ, যৌন হ*য়রানীর ঘটনাগুলোর ৯৯ ভাগই আলোর মুখ দেখে
না। সামাজিক লজ্জা ও হুজুরদের সাংগঠনিক ক্ষমতার কথা চিন্তা করে মেয়েরা মুখ
খুলে না।
হুজুরদের হাতে আছে হেফাজত ইসলামের মত চরম জঙ্গি সংগঠন। এমন কোন মাদ্রাসা
নেই যেখানকার বড় হুজুর এই সংগঠনের নেতা নন। প্রতিটি জেলা, থানার হেফাজত
ইসলাম হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন যার কাছে ক্ষমতাশীন দলের ছাত্রলীগ
যুবলীগ পর্যন্ত পিছিয়ে। কারণটা হচ্ছে ধর্ম। হুজুররা গজারী নিয়ে রাস্তায়
নামলে, পুলিশকে ফ্লাইংকিক মারলেও পাল্টা এ্যাকশান হয় না। নিরিহ
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কোন দাবী তুললে যেভাবে পুলিশি এ্যাকশন আমরা দেখি
হুজুরদের প্রতি প্রশাসন পুলিশ সেখানে খুবই সহানুভূতিশীল।মাদ্রাসা ছাত্রদের উপর বলাৎকার করে ধরা পড়া হুজুরদের পুলিশ অত্যন্ত
সন্মানের সঙ্গে গ্রেফতার করে। স্কুল বা কলেজের লম্পট শিক্ষকদের যে কজন ধরা
পড়েছে তাদের প্রথমে পাবলিকের হাতে ধোলাই খেয়ে আধমরা হয়ে পুলিশের হাতে পড়তে
হয়েছে। হুজুরদের প্রতি পাবলিকের সেই ক্ষোভটা নেই কেন? বড়গুনার মিন্নির
পক্ষে আইনজীবীরা লড়তে আপত্তি জানালেও এইসব শিশু নি*পীড়নকারী মোল্লাদের
পক্ষে লড়তে আইনজীবীদের অভাব হয় না। এসবই ঘটেছে আমাদের ধর্মান্ধ অবস্থানের
কারণে।বাংলাদেশের টিভি টকশোগুলোতে মাদ্রাসাগুলোতে চলা শিশু ও নারীদের উপর চলা
যৌ*ন হ*য়রানী নিয়ে কোন আলোচনা হয় না। কারণটা সম্ভবত দর্শক হারানো ভয়। এটাকে
মাদ্রাসা তথা ইসলামিক শিক্ষার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখা হবে। প্রিয়া
সাহাকে নিয়ে এদেশে বুদ্ধিজীবীরা যেভাবে কাঁটাছেঁড়া করেছেন, তার একটা
বক্তব্যকে যেভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখানো হয়েছে, অথচ
আহমদ শফীর হিন্দুদের ‘চোর’ বলা এবং ভারতের বিরুদ্ধে মুসলমানদের আসন্ন
জিহাদের আহ্ববান নিয়ে কোন টু শব্দটি করা হয়নি।আমাদের মন্ত্রী সমকামিতাকে বলেছিলেন এসব আমাদের সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়। দুজন
প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ সমলিঙ্গে আনন্দ পেলেও সেটা অপরাধ কিন্তু
মাদ্রাসাগুলোতে শিশু নি*পীড়ন, ধ*র্ষণ করা নিয়ে ভয়ে কেউ কথা বলতে পারে না।
মাদ্রাসাগুলো নিষিদ্ধ এলাকার মত নিজেদের আইনে চলে। এখানে সরকারের কোন
নিয়ন্ত্রণ নেই। একেকটা মাদ্রাসায় যে পরিমাণ ছুরি-রামদা-কিরিচ মজুদ থাকে,
তাতে দুই-তিনটা পাড়া মহল্লাতে দাঙ্গা বাধানোর জন্য যথেষ্ঠ। মাদ্রাসাগুলোতে
আসা বিদেশী অর্থ কিভাবে আসে কাদের মাধ্যমে আসে তার কোন নজরদারী কি সরকারের
আছে? সরকারের কি মুরোদ হবে মাদ্রাসাগুলোতে চলা বলাৎকার ধ*র্ষণ বিষয়ে কথা
বলার?কেউ একজন বলেছিলেন, ‘শূকরের মাংস, ম*দ ও
গাঁ*জা খেয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা যারা বলেন, তারা পারভারটেড’। তো যারা
কুরআন হাদিস থেকে সমকামীদের হ*ত্যার ফতোয়া দেন, তারাই যখন সমলিঙ্গের
শিশুদের বলাৎকার করে, তাদের এখন তিনি কি বলে অবহিত করবেন? তার কোন মন্তব্য
আমরা এ বিষয়ে শুনতে পাই না কেন?
মাদ্রাসায় গণবলাৎকারের বিরুদ্ধে কথা বলার মত কেউ নেই?
সুষুপ্ত পাঠক: ব্লগার, অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 coment rios: