
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ওই ছাত্রী ঘুমের ওষুধসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে অচেতেন হয়ে পড়লে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
রুকাইয়া স্থানীয় ভান্ডারিয়া সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত।
এদিকে আজ শনিবার দুপুরে রুকাইয়া রূপার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত তামিম খানের (১৮) বিচারের দাবিতে বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে তার সহপাঠীরা। মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব কুমার হালদারসহ কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্রী বক্তব্য দেন। বক্তারা তামিম খানকে গ্রেপ্তার করে তাঁর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তামিম বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই রুকাইয়াকে উত্ত্যক্ত করত। গত কয়েক মাস তিনি উত্ত্যক্ত করা বন্ধ রেখেছিলেন। তবে তিন দিন আগে থেকে মেয়েটিকে আবার উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন তামিম। গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে রুকাইয়া প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার সময় তামিম তার পথ আটকে বলেন, তাঁর সঙ্গে প্রেম না করলে আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবেন। মেয়েটি বাড়ি ফিরে বাবাকে এ কথা জানায়। এরপর রুকাইয়ার বাবা রুহুল আমিন বাজারে চলে যান।
মেয়েটির মা শান্তা বেগম বলেন, সন্ধ্যার দিকে মেয়ে প্রতিদিনের মতো দরজা বন্ধ করে পড়তে বসে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে বাবা মেয়েকে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেন। সেখানে খাটের ওপর মেয়েকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান এবং পাশে ঘুমের ওষুধের খালি খোসা পান। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রাত দেড়টার দিকে সে মারা যায়। খবর পেয়ে ভান্ডারিয়া থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
রুকাইয়ার বাবা রুহুল আমিন বলেন, ‘আমার মেয়ের ছবি ফটোশপ করে তামিম বিভিন্নজনের কাছে ছড়িয়ে দেন। রুকাইয়া এ কারণে আত্মহত্যা করেছে।’

বখাটে তামিম, যার অত্যাচারে আত্মহত্যা করলো রুপা
copy... DHAKA TODAY
0 coment rios: