Monday, September 2, 2019

ওসমানীনগরে মেয়েকে ‘ধর্ষণ’, বাবা গ্রেপ্তার


সিলেটের ওসমানীনগরে দীর্ঘদিন ধরে বাবার লালসার শিকার হয়ে আসছে এক মাদ্রাসাছাত্রী (১৪)। উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকদারা (নোয়াগাঁও) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে মেয়েটির পিতা মাসুক মিয়া (৪২) পলাতক থাকলেও গতকাল সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ওসমানী নগর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় কিশোরীটির চাচি ওসমানীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, নির্যাতনের শিকার শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির আবাসিক শিক্ষার্থী। গত রমজানে ছুটিতে বাড়ি এসে প্রায় দেড় মাস অবস্থান করে। এ সময় তার বাবা নিয়মিত তাকে জোর করে নির্যাতন করত। ভয়ে বিষয়টি গোপন রেখে মেয়েটি আবারো মাদ্রাসায় ফিরে যায়। পরবর্তী সময়ে ঈদুল আজহার ছুটিতে বাড়ি এলে আবারো তার ওপর যৌন নির্যাতন চালায় কিশোরীটির বাবা। এতদিন ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখলেও গত বৃহস্পতিবার শিশুটি বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি তার বড় চাচিকে জানায়। এ ঘটনায় রোববার রাতে চাচি কিশোরীটিকে নিয়ে থানায় হাজির হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে পলাতক থাকে মেয়েটির বাবা। পরে ওসমানী নগর থানা পুলিশের অভিযানে মেয়েটির বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার বাদী চাচি বলেন, “প্রায় ৬ বছর আগে মেয়েটির মা ৪ কন্যা সন্তান রেখে মারা গেলে তার বাবা আরও দুটি বিয়ে করে। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় পরের বিয়েগুলো ভেঙে যায়। নির্যাতিত মেয়েসহ তারা ৩ বোন মাদ্রাসায় থেকে লেখাপড়া করছে এবং ছোটটি আমার কাছে রয়েছে। বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা থেকে ফিরে মেয়েটি (নির্যাতিতা) ঘটনাটি খুলে বললে আমি স্থানীয় মেম্বারকে অবগত করে পুলিশের শরণাপন্ন হই।”
নির্যাতনের শিকার মেয়েটি বলেন, “আমার বাবা রমজানের আগ থেকে জোর করে আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করছে। ভয়ে কাউকে কিছু বলিনি। শেষ পর্যন্ত ছোটবোনের টানে বৃহস্পতিবার বাড়ি এসে রাতে চাচিকে ঘটনাটি খুলে বলি।”
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেটটুডে২৪কে বলেন, “ঘটনাটি নিজেই তদন্ত করে দেখছি। নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। এদিকে গতরাতে (সোমবার) মেয়েটির পিতাকে সিলেটে দক্ষিণ সুরমা থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করি।”
গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত পিতাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে ও তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আদালতের কাছে চাওয়া হবে বলেও সিলেটটুডে২৪কে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: