
ওয়েবডেস্ক: জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তান। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে ইসলামাবাদ। তবে পাকিস্তান যাই করে নিক, প্রতিশোধ নেওয়ার মানসিকতা থেকে ভারতের ওপর পাল্টা হামলার কথা ভুলেও না ভাবে। ইমরান খান প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে এমনই সতর্কবার্তা দিয়ে ফেলেছেন হোয়াইট হাউসের দুই আইনপ্রণেতা। একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান যেন অবিলম্বে তাদের জঙ্গি ঘাঁটি ও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এবং সেটা খালি মুখে বা কাগজে কলমে নয়, বাস্তবে এমন অ্যাকশন নিতে হবে যেটা চাক্ষুষ করা যায়।
বুধবারই মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে ভারতকে সম্পূর্ণ বয়কট করার ডাক দিয়েছেন ইমরান খান। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য রদ করার পাশাপাশি ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার অজয় বিসারিয়াকে দেশে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের দাবি, কাশ্মীর নিয়ে ‘একতরফা’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে দাঁড়িয়ে একাধিকবার জানিয়ে দিয়েছেন, কাশ্মীর ইস্যুটি ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। ফলে এই নিয়ে আপাতত দুই দেশের তরজা চরমে। এরই মধ্যে মার্কিন আইনপ্রণেতারাও ভারতের পাশেই দাঁড়ালেন।
মার্কিন সেনেটের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রবার্ট মেনেন্দেজ এবং ইলিয়ট এঙ্গেল জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি প্রসঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। একটি যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে তারা জানিয়েছেন, ‘পাকিস্তানের উচিত নিয়ন্ত্রণ রেখার আশেপাশে যে কোনও রকমের প্রতিশোধমূলক আগ্রাসন থেকে থেকে বিরত থাকা। একই সঙ্গে নিজেদের মাটিতে জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধেও এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত যা দেখতে পাওয়া যায়।’ ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতারা আরও বলেন, ‘পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে ভারতের কাছে সুযোগ রয়েছে আইনের মধ্যে থেকে দেশের প্রতিটি নাগরিককে সমানাধিকার দেওয়ার।’
প্রসঙ্গত, ইমরান খানের আমেরিকা সফরের সময় থেকেই জম্মু কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা কিছুটা হলেও ভারতকে ভাবতে বাধ্য করেছিল। ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি যার ফলশ্রুতি হিসেবে দেখা যেতেই পারে। অন্যদিকে লক্ষণীয় বিষয়, আগে এই বিষয়ে আগ্রহ দেখালেও ৫ অগাস্টের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের পর থেকে মুখ খুলতে দেখা যায়নি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ফলে গোটা ইস্যুতে এই বিবৃতিকেই আমেরিকার অবস্থান হিসেবে ধরে নেওয়াই যায়। আর সে ক্ষেত্রে আমেরিকার পুরো সমর্থনই পাচ্ছে ভারত।
0 coment rios: