
ফিশিং বোটের জেলে আব্দুর রহিম জনকণ্ঠকে বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর আমরা সাগরে মাছ ধরেতে নেমেছি। গভীর সাগরে যাওয়ার জন্য আগে ভাগেই রওয়ানা দিয়েছি। সাগরে ভালোই ইলিশ ধরা পরছে। কম সময়ে যা পেয়েছি তা বেশ ভালোই। তাই চড়া দামে বিক্রির আশায় আমরা আগেভাগেই বরিশালে এসেছি। বোটের মাঝি আব্দুল করিম জানান, সাগরে প্রচুর ইলিশ রয়েছে। তাই আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশ্বিন মাস পর্যন্ত ভালো মাছ ধরা পরবে। বোট মালিক ও জেলেদের অভিযোগ, বাংলাদেশ সীমানায় ঢুকে ভারতীয় জেলেরা নিষেধাজ্ঞার সময় প্রচুর ইলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এতে দেশের মৎস্য খাত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
সাগরে জেলেদের জালে আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়ার কথা জানিয়ে পোর্ট রোডের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, যতদূর খোঁজ পেয়েছি সাগরে ইলিশ ধরা পরছে। বুধবার দুপুরে বরিশাল ঘাটে কিছু ফিশিং বোট ইলিশ মাছ নিয়ে এসেছে। তবে আরও বেশি ফিশিং বোট মাছ নিয়ে বাজারগুলোতে পৌঁছালে বাজারে ইলিশের আমদানি বাড়ার সাথে সাথে দরও কমে আসবে। তবে এজন্য আরও ৪/৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
নগরীর পোর্ট রোডের ইলিশ মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, বুধবার সকালে গোটলা সাইজের ইলিশের দর ছিল প্রতিমন ২০ থেকে ২১ হাজার, ভেলকা সাইজের ২৭ থেকে ২৮ হাজার, এলসি সাইজের (ছয় থেকে নয়’শ গ্রাম ওজন) ৪০ হাজার, এক কেজি সাইজের ৫২ হাজার, এক কেজির ওপরে ৫৮ থেকে ৬০ হাজার এবং দেড় কেজি ওজনের হলে প্রতিমন এক লাখ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ পূর্বে বাজারে গোটলা সাইজের ইলিশের দর ছিল প্রতিমন ২৫ হাজার, ভেলকা সাইজের ৩৫ থেকে ৩৬ হাজার, এলসি সাইজের ৫২ হাজার, এক কেজি সাইজের ৬০ হাজার এবং দেড় কেজি ওজনের প্রতিমন ইলিশ এক লাখ ৩০ হাজার টাকা।
0 coment rios: