নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈশ্বিক মহামারী করোনায় মৃত ব্যক্তিদের স্বজনেরাও যখন কাছে আসেন না তখনই ডাক পরা মাত্র ছুটে চলছে সেচ্ছাসেবী সংগঠন “ করোনা মৃতদেহ সৎকার সেচ্ছাসেবক সংঘ”র সদস্যরা।চট্টগ্রাম মহানগরসহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় দিন বা রাত নেই কোন সময়।র্নিভয়ে সুরক্ষা পোশাক পিপিই, হাতে গ্লাভস, চোখে চশমাসহ পুরো পোশাক পরে সনাতনী রীতিনীতি অনুযায়ী মৃতদেহ সৎকার করা যাদের একমাত্র লক্ষ্য।
“ করোনা মৃতদেহ সৎকার সেচ্ছাসেবক সংঘ”র আহব্বায়ক জুয়েল আইচ’র নেতৃত্বে সব সময় প্রস্তুত“ করোনা মৃতদেহ সৎকার সেচ্ছাসেবক সংঘ”র টিম। আহব্বায়ক জুয়েল আইচ জানায় গতকাল ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় ফোন আসল করোনা মৃতদেহ সৎকার সেচ্ছাসেবক সংঘর কাছে। পুর্বপরিচিত দাদা জানান কাতার প্রবাসী উনার এক আত্মীয় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেছেন। সৎকার এর জন্য যেতে হবে। করোনা মৃতদেহ সৎকার সেচ্ছাসেবক সংঘ’র আরো ৩ সহযোদ্ধাকে সাথে নিয়ে আজ সকাল ৯ টায় বেড়িয়ে পড়লাম প্রয়াতের গ্রামের বাড়ী রাউজান, গহিরা এর উদ্দেশ্যে। প্রায় ১১ টার পৌছালাম প্রয়াত ব্যক্তি সজল শর্ম্মার বাড়িতে। গিয়ে খুব মর্মাহত হলাম সান্তনার ভাষা হারিফেলাম করোনা মৃতদেহ সৎকার সেচ্ছাসেবক সংঘ’র সদস্যগন।
কারন মৃত ব্যাক্তি সজল শর্ম্মা বিয়ে করেছেন গত বছর দেরেক আগে, এরি মধ্যে উনার প্রথম সন্তান টাও জন্মের সময় মারা যায়! একজন মা সন্তান হারানোর শোক না কাটতেই স্বামী হারানোর শোক সইবে কি ভাবে? তারপরও মৃতদেহ সৎকার করতে হবে। বিকাল ৩ টায় সৎকার শেষ হলো। প্রয়াতের গ্রামে সকলেই একটু আতংকিত হলে ও খুব আন্তরিক ছিলেন। সৎকার শেষ করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হই। আমরা করোনা মৃতদের সৎকার সেচ্ছাসেবক সংঘ অনেক সময় সৎকার করতে গিয়ে এমন অনেক মর্মাহত ঘটনার সাক্ষী হয়েছি, হয়ছি ব্যাথিত। তাই সকলের প্রতি অনুরোধ সচেতন হোন সতর্ক থাকুন।
তিনি আরো জানান চট্টগ্রাম জেলা সিভিল র্সাজন কার্যালয় হতে করোনায় মৃতদেহ সৎকারের জন্য আমাদের অনুমোদন প্রধান করেন যার স্মারক নং. সিএসসি/শা-জেঃ স্বাস্থ্য তত্ত্বঃ/ ২০২১/২৯৬৪ অনুমোদন এর পরই বিভিন্ন উপজেলায় কমিটি করা হয়। বাঁশকালী উপজেলায় ডাঃ আশীষ শীল ও সনজয় দাশ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়, রবি দাশ ও শুভ রাধিকা কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবং মহানগরে হৃদয় দাশ, শুভরাম, রাজম্যান দাশ, জয় দাশ, তুর্য রুদ্র, বিজয় দাশ সহ আর অনেকে “ করোনা মৃতদেহ সৎকার সেচ্ছাসেবক সংঘ”এর দায়িত্ব পালন করে আসছে।
এবং আমাদের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন, জহলাল হাজারী(কাউন্সিলর) ডাঃ যীশু দেব, রাজন দাশগুপ্ত, শৈবাল দাশ সমুন (কাউন্সিলর) রুমকি সেনগুপ্ত (মহিলা কাউন্সিলর) আর অনেকেই আমাদের অবিভাবক হিসেবে রয়েছেন এবং সার্বক্ষনিক আমাদের এই কার্যক্রমে সহযোগিতা করে আসছেন ।
0 coment rios: