Tuesday, March 23, 2021

কক্সবাজারে এক হিন্দু পরিবার ধর্মান্তরিত নৈপথ্যে আওয়ামী লীগ নেতা



বিশেষ প্রতিবেদক :: বাংলাদেশে জোর করে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা বেড়েই চলেছে। বেড়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, হত্যা, নির্যাতন-নিপীড়ন, জায়গা-জমি দখল, মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাও। 


এ ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিশোরী ও যুবতীদের অপহরণ কিংবা জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করার ঘটনাই সিংহভাগ। সর্বশেষ গত বুধবার সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে অন্তত ১৪-১৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।


এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার শহরে প্রলোভন দেখিয়ে এক হিন্দু পরিবারের মা,মেয়ে ও ছেলেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। শনিবার কক্সবাজার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে এ ঘটনাটি ঘটে। এসময় জেলার শীর্ষ এক আওয়ামী লীগ নেতা, এক সাবেক জনপ্রতিনিধি ও মহল্লার সভাপতিও উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক তৈরি করেছে।

ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘটনাটি নিয়ে শনিবার জেলার একটি স্থানীয় পত্রিকায় ফলাও করে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। ধর্মান্তরিত করা হিন্দু পরিবারের সদস্যরা হলো-কক্সবাজার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মা সুমি দাস.তার কন্যা মনিকা দাস ও পুত্র রুপায়ন দাস।এর মধ্যে দুই সন্তানই অপ্রাপ্তবয়স্ক।

সূত্রে জানা গেছে,কক্সবাজার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই পরিবারকে ধর্মান্তরিত হতে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখানো হয়। আর তাদের ধর্মান্তরিত করতে নতুন বাহাড়ছড়ার এক মসজিদের ঈমাম, জেলার শীর্ষ এক আওয়ামী লীগ নেতা সহ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাজির করা হয়। যাতে পরবর্তীতে কোন ঝামেলা পোহাতে না হয়।

এ ব্যাপারে কক্সবাজারের সনাতন ধর্মালবম্বীদের এ নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,আমরা সবাই জানি আওয়ামী লীগ একটি ধর্মনিরপেক্ষ,অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একটি সংগঠন। এ চেতনাকে ধারণ করে ১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ি যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধিনতা লাভ করে। কিন্তু স্বাধিনতার ৫০ বছর পর আমরা এর উল্টোটা দেখতে পারছি। এখন কিছু নেতা উগ্রবাদী চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে সম্পত্তি দখল,হামলা-মামলা ও ধর্মান্তরিত করছে।

তিনি আরও জানান,কক্সবাজার শহরে হিন্দু পরিবারের ৩ জনকে ধর্মান্তরিত করার প্রতিবাদ স্বরুপ জেলার শীর্ষ ওই আওয়ামীলীগ নেতাকে সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অবাঞ্চিত ঘোষনা করার পাশাপাশি শ্বশানসহ মঠ মন্দিরে তার দেয়া আনুদান না নেয়ার দাবী জানাচ্ছি।

এদিকে ওই পত্রিকার প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, মা সুমি দাস.তার কন্যা মনিকা দাস ও পুত্র রুপায়ন দাসকে হিন্দু থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করে যথাক্রমে খদিজা,ফাতেমা ও ওমর ফারুক করা হয়েছে। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই পরিবার। বিষয়টি জানার পরই জেলার সনাতন ধর্মালবম্বী কয়েকজন নেতা সদর থানায় সঙ্গে যোগাযোগ করে।কিন্তু তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেনা বলে জানায়।

তথ্য সূত্রঃ কক্সবাংলা ডটকম



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: