টুইটারের পরিবর্তে ভারতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলতে যাচ্ছে হলুদ রঙের একটি মুরগি ছানা। এই মুরগি ছানাকে ভারতজুড়ে জনপ্রিয় করতে উদ্যেগ নিয়েছেন ভারতীয় মন্ত্রীরা। মূলত সরকারের সঙ্গে টুইটারের বিরোধের জেরে এ উদ্যোগ নিয়েছে বলা জানা গেছে।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
হলুদ রঙের এই মুরগি ছানারটির নাম 'কু' “KOO”। এটি ভারতের নতুন মাইক্রোব্লগিং অ্যাপ। ভারতের সরকারি বিভাগগুলো এখন টুইটারের বদলে 'কু' অ্যাপ ব্যবহার করতে শুরু করেছে। টুইটার একাউন্ট ব্যবহার করে ভারতে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর কারণেই ভারত সরকার এই অ্যাপ ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
ভারত সরকার টুইটারের দাবি জানিয়েছিল যে, কিছু কিছু টুইটার একাউন্ট থেকে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। সে কারণে যেন সেসব একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রথমে দাবি মেনে নিয়ে টুইটার ওই একাউন্টগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিলেও পরবর্তীতে সেটা আবার চালু করে দেয়।
টুইটারে ভারত সরকার যাদের একাউন্ট বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন তারা ছিলেন সাংবাদিক, সংবাদ প্রতিষ্ঠান ও বিরোধী রাজনীতিক।
টুইটারের বিরুদ্ধে 'দ্বি-মুখী আচরণ' এর অভিযোগ এনে ভারত সরকার বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে ভাঙচুরের সময় যাদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল টুইটার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল, কিন্তু ২৬শে জানুয়ারি কৃষক বিক্ষোভাকারীরা যখন একইভাবে দিল্লির লাল কেল্লা অবরোধ করল, তখন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নিলো না টুইটার।
বর্তমানে ভারতে সরকারি দলের সমর্থকরা তাদের মত প্রকাশের জন্য কু ব্যবহার করতে শুরু করেছে। এমনকি তারা ভারতে টু্ইটার নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশটাগও শেয়ার করছেন।
নতুন এই অ্যাপটির বিশেষ আকর্ষণ হল এটি ইতোমধ্যে ভারতের পাঁচটি জাতীয় ভাষায় কাজ করতে পারে। পাশাপাশি ইংরেজিও কাজ করে। এছাড়াও আরো ১২টি ভাষায় এই অ্যাপ চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা।
নতুন এই 'কু' অ্যাপটির মূল প্রতিষ্ঠান ভারতের ব্যাঙ্গালোরের বম্বিনেট টেকনোলজিস। তারা এই অ্যাপটি বানানোর জন্য ৪১ লাখ ডলার তহবিল জোগাড় করে। আর এই অ্যাপটির পেছনে যাদের ভূমিকা আছে তাদের মধ্যে একজন হল মোহানদাস পাই। তিনি ইনফোসিস কোম্পানির সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং ভারতে বিজেপি সরকারের সোচ্চার সমর্থক।
0 coment rios: