Wednesday, November 13, 2019

রাঙ্গামাটি তপোসুর সাংস্কৃতিক একাডেমীর বর্ষপূর্তিতে সংগীতানুষ্ঠান



যীশু সেন : গত ৯ নভেম্বর ২০১৯ খ্রি. শনিবার সন্ধ্যায় রাঙ্গামাটি রিজার্ভ বাজারস্থ বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল পার্বত্য জেলার রাঙ্গামাটির সাংস্কৃতিক সংগঠন তপোসুর সাংস্কৃতিক একাডেমীর ৫ম বর্ষপূর্তিতে অত্র জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের তিনজন গুণীজনকে সম্মাননা প্রদান, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও বার্ষিক সংগীত পরীক্ষায় উর্ত্তীণদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ বেতারর রাঙ্গামাটি কেন্দ্রের নজরুল সংগীতের তালিকাভুক্ত শিল্পী ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মিলন ধরের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সুবল বিশ্বাস। জাতীয় সংগীত ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা শিল্পকলা একাডেমির জেলার কালচারাল অফিসার অনুসিনথিয়া চাকমা, প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অনির্বাণ বড়ুয়া, ধ্রুব সংস্কৃতিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বরূপ দেবনাথ, সাংস্কৃতিক একাডেমি ও কাপ্তাই প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ঝুলন দত্ত, তিনজন গুণীজন সংবর্ধিত হলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ মিজ নিরূপা দেওয়ান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও উন্নয়ন কর্মী মো. জান-ই-আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পঞ্চ বর্ষপূর্তি উদযাপন পরিষদের আহবায়ক মো. জসিম উদ্দীন। বক্তারা বলেন - সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে মানুষের মানবিক গুণাবলী বিকশিত হয়, ভ্রাতৃত্যের বন্ধন সুদৃঢ় হয়। আরও বলেন যে সংগীতকে ভালবাসেনা সে মানুষ হতে পারে না। সংগীতের মধ্যে স্মৃতিকে গেঁথে রাখা যায়। সংগীত চর্চা মানুষের স্মৃতি শক্তি, পর্যবেক্ষণ শক্তি ও এ্যানালাইজিং পাওয়ারকে বাড়িয়ে দেয়। এজন্যই ছেলেবেলায় হতে সংগীতের উপর গুরুত্ব দেয়া খুব বেশি জরুরী। আলোচনা সভা শেষে সঞ্চালক বলে উঠলেন চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা তিন গ্রুপের বিজয়ীদের নাম - ক গ্রুপে (২য় শ্রেণি) ইচ্ছে মত অংকন ১ম স্থান হল- মো. শাহাদাৎ হোসেন রাজ, ২য় স্থান- তাসফিয়া জান্নাত ও ৩য় স্থান- আফিবা সুলতা অনিক। খ গ্রুপে (৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি) গ্রামের দৃশ্য অংকন ১ম স্থান হল শতরূপা রায়, ২য় স্থান - মিথিলা জামান রোশনী, ৩য় স্থান-শেখ আজরিন সাদিয়া তনয়া। গ গ্রুপে (৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণি) পাহাড়ী জীবনধারা অংকন ১ম স্থান হল বিশাল নাথ, ২য় স্থান - মুমতাহিনা রহমান, ৩য় স্থান - নুরে নাজিবা নুহা। এরপর শুরু হল সংগীতানুষ্ঠান এতে সংগীত পরিবেশন করেন - তিশা দেওয়ান, সেলিমা আপসানা মীম, শ্রাবন্তী নিলয় মিথীলা, কারিনা দে, জুই দীঘি বিশ্বাস, চৈতি চৌধুরী, দিশা ত্রিপুরা মঙ্গল বিকাশ চাকমা। সংগীত পরিচালনায় কন্ঠ শিল্পী মিলন ধর। সমবেত তবলা লহড়া পরিবেশনে ছিলেন- রুপম সিকদার, অন্তর দে, প্রান্ত দে , প্রলয় দে, রুদ্র চক্রবর্তী, অভি চক্রবর্তী, অনুজ চৌধুরী, দীপু শীল ও রোমিও ধর। তবলা লহড়া পরিচালনায় ও হারমোনিয়াম নাগমায় ছিলেন শিল্পী সুবল বিশ্বাস। যন্ত্রে ছিলেন- কি বোর্ডে রাহুল দে, অক্টোপ্যাডে অর্জুন দাস, তবলায় -রোমিও ধর, অন্তর দে ও অনুজ চৌধুরী। সর্বশেষে প্রধান অতিথি উপস্থিত থেকে গুণীজন সম্মাননা, একাডেমির বার্ষিক সঙ্গীত পরীক্ষা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় উর্ত্তীণদের ক্রেস্ট, সনদপত্র ও সম্মাননা প্রদান মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: