Tuesday, October 22, 2019

কালারপোল হাজী মো.ওমরা মিয়া চৌধুরী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মহিউদ্দিন চৌধুরী’র বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের অভিযোগ।


কালারপোল হাজী মো.ওমরা মিয়া চৌধুরী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মহিউদ্দিন এর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের অভিযোগ ফেইজবুকে ভাইরাল। জানা যায় স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতার বংশধর-এই পরিচয়ে নিয়ম না থাকা সত্বেও আজীবন দাতা সদস্যের তালিকায় নাম লিখান প্রফেসর মহিউদ্দিন। বিগত ২০১০সাল থেকে অদ্যাবধি তিনি প্রতিষ্ঠাতার ওয়ারিশ দোহাই দিয়ে দায়িত্ব পালন কালে মাইনরিটিদের কোনঠাসা করে রাখাসহ বিভিন্ন প্রকার অনিয়মের সাথে জড়িত বলে খবর পাওয়া গেছে। সুত্রে জানা যায়,গত প্রায় তিন বছর পূর্বে নতুন প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান বর্তমানে দায়িত্বরত প্রধান শিক্ষক আবদুর রহীম চৌধুরী। বর্তমান প্রধান শিক্ষক ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে যোগদান করে প্রধান শিক্ষকদের অনারবোর্ডে নিজের নাম লিখাতে গিয়ে দেখতে পান যে,অনারর্বোডে স্কুল প্রতিষ্ঠা ১৯৫১ সালে লেখা থাকলেও ১৯৫৮ সাল পযর্ন্ত কোন প্রধান শিক্ষকেকর নাম নাই।কিন্তু ১নং ক্রমিকে ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পযর্ন্ত নাছির আহম্মদ এর নাম পাওয়া যায়।তিনি স্কুলে সংরক্ষিত ডকুমেন্টে প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক শ্রী মণিভূষণ চক্রবর্তীর নাম পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক শ্রী মণিভূষণ চক্রবর্তীর নাম বোর্ডে লিখা না থাকায়, প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষকের নাম বোর্ডে লিখার উদ্যোগ নিলে সভাপতি বাধা দেওয়ায় লিখাতে পারেননি। পরবর্তীতে ০৬/০৫/২০১৮ইং তারিখ দৈনিক আজাদী পত্রিকার ২য় পৃষ্ঠার একটি প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান শিক্ষকসহ ২৩ জন শিক্ষক শ্রী মণিভূষণ চক্রবর্তীকে প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক দাবী করলে সভাপতি ক্ষেপে যান। পরবর্তীতে কিছুলোকসহ সভাপতি স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকদের ভয়-ভীতি দেখান এবং প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি (যাতে শ্রী মণিভূষণ চক্রবর্তীকে প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক উল্লেখ করা হয়) প্রত্যাহার করার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশ দিয়ে যান। প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারে সভাপতির নির্দেশের প্রেক্ষিতে কিছু শিক্ষক ভয়ে প্রত্যাহারে রাজী হয়ে যায় কিন্তু প্রধান শিক্ষকসহ কিছু শিক্ষক রাজী না হওয়াতে প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার হয়নি। প্রত্যাহার না হলেও সভাপতির নানামুখী বাধা ও ষড়যন্ত্রের কারণে এখনো প্রয়াত স্বর্গীয় মণিভূষণ চক্রবর্তীকে তার যথাযথ সম্মান ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে দায়িত্বরত প্রধান শিক্ষক আবদুর রহীম চৌধুরী প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক শ্রী মণিভূষণ চক্রবর্তীকে তার ন্যায্য সম্মান দেওয়ার চেষ্টাসহ সভাপতির অন্যায় আবদার ও অনিয়মকে প্রশ্রয় না দেওয়ায় সভাপতি মহিউদ্দিন এর বিরাগভাজন হন। সভাপতির অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বর্তমান প্রধান শিক্ষককে চাকুরীচ্যুত করার ষড়যন্ত্র শুরু করেন বলে জানা যায়।এই বিষয়ে বর্তমানে দায়িত্বরত প্রধান শিক্ষক আবদুর রহীম চৌধুরী’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তার সত্যতা পাওয়া যায়।এই বিষয়ে সভাপতি অধ্যাপক মহিউদ্দিন চৌধুরী’র সাথে তাঁর এই 01979387004 নাম্বারে বারবার যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন সুত্রে আরো জানা যায় ২০১১ সালে অফিস সহকারী নিয়োগ পরিক্ষায় ১১ জন প্রার্থী আবেদন করেন।৫ জন প্রার্থী হিন্দু হওয়ায় তাদেরকে ইন্টারভিউ র্কাড পাঠানো হয়নি।পরে ২০১৮ সালে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষায় ১ম,২য়,ও ৩য় তিন জনই হিন্দু হওয়ায় সভাপতি অধ্যাপক মহিউদ্দিন চৌধুরী নিয়োগ পরিক্ষা বাতিল করেন।পরবর্তীতে ২য় নিয়োগের লিখিত পরিক্ষায়ও হিন্দু প্রার্থী ১ম হয়। তাকে বাদ দিয়ে সাম্প্রদায়িক সভাপতি অধ্যাপক মহিউদ্দিন চৌধুরী দুর্নীতির মাধ্যমে তার পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেন।এই বিষয়ে বর্তমানে দায়িত্বরত প্রধান শিক্ষক আবদুর রহীম চৌধুরী অতিরিক্ত সচিবকে জানালে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও আঞ্চলিক উপ-পরিচালক তদন্তে এসে তার সত্যতা পান এবং উক্ত স্কুলে তার সহযোগী সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন জুনিয়র শিক্ষকদের তুলনায় অন্যান্য সিনিয়র হিন্দু শিক্ষকদের প্রাতিষ্ঠানিক বেতন কম প্রদান করেন অধ্যাপক মহিউদ্দিন চৌধুরী।বর্তমানে সাম্প্রদায়িক সভাপতি অধ্যাপক মহিউদ্দিন চৌধুরীর নানাবিধ সাম্প্রদায়িক অপতৎপরতার কারণে হিন্দু শিক্ষার্থী ব্যাপক ভাবে কমে গেছে।আরো জানা যায় ইতোমধ্যেই সভাপতির এহেন কর্মকান্ড অসমর্থন করে তারই আপন ভাই ইমতিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী নোহেল, সাবেক প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব ছিদ্দিক আহমদ, পরিচালনা পরিষদের ৪ জন সদস্য ও বর্তমান প্রধান শিক্ষক আবদুর রহীম চৌধুরী ও ৩ জন শিক্ষক চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে মোট ৬টি অভিযোগ জমা দেন।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: