Sunday, September 1, 2019

রোহিঙ্গা ডাকাতের কাছে বাংলাদেশী স্মার্টকার্ড


রোহিঙ্গা কিশোরী কন্যার কর্ণছেদন অনুষ্টানে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ কোটি টাকা উপহার সামগ্রী পেয়ে আলোচনায় আসা টেকনাফের ঘটনাবহুল জনপদ জাদীমুরায় যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামী কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ ওরফে নুর আলমের রয়েছে বাংলাদেশী স্মার্টকার্ড থাকা নিয়ে অভিযোগ উটেছে।

শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামরী পাহাড়ী এলাকা থেকে কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদকে আমান উল্লাহ নামে অপর একজন সহযোগীসহ আটক হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। তবে তাঁকে আটকের বিষয়টি আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি।যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যাকান্ডের ঘটনায় জাদীমুরাসহ পুরো এলাকা উত্তপ্ত হওয়ায় এতদিন ধামাচাপা ছিল কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ ওরফে নুর আলমের কিশোরী কন্যার জমকালো কর্নছেদন অনুষ্টানের চমকপ্রদ খবর।

সূত্র জানায়, কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারী চট্রগ্রামের সিটি কর্পোরেশনের ঠিকানায় বাংলাদেশী স্মার্টকার্ড তৈরী করেছেন। কার্ডে নাম দিয়েছেন নুর আলম। পিতার নাম কালা মিয়া এবং মাতার নাম সরু বেগম। জন্ম তারিখ ২৫ নভেম্বর ১৯৮৩ ইংরেজী। এনআইডি নম্বর- ৬০০৪৫৮৯৯৬৩। তার স্থায়ী ঠিকানা হচ্ছে পশ্চিম ষোলশহর পার্ট-২, হিলভিউ রোড, ৪২১১ পাচঁলাইশ, চট্রগ্রাম১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা নূর মোহাম্মদ হ্নীলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জাদিমুরা এলাকায় প্রথমে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। ধীরে ধীরে সেখানেই জমি কিনে বাড়ির মালিক হন। প্রতিটি ক্যাম্পে স্ত্রী থাকায় তার আধিপাত্য বিস্তারে সহজ হয়। রোহিঙ্গা নূর মোহাম্মদের মালিকানায় বাংলাদেশে ৪টি বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে একটি পাকা ভবন, একটি দু’তলা, একটি টিনের ঘর এবং অপরটি বাগান বাড়ি। রয়েছে একাধিক স্ত্রী।

সাধারন জনমনে এ প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে কিভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করেন এরা ! জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মধ্যে ফেলে অর্থের কাছে সবই হার মানায়। রাষ্ট্রকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবিষয়ে। সংশ্লিষ্ট স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা এ দায় এড়াবেন কিভাবে? কক্সবাজার/VOA.




শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: