
পটুয়াখালী সদরের কুড়িপাইকা গ্রামে এক হিন্দু শিশুকে অপহরণ করে মুসলমান বানানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে তার সহপাঠীর পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা করেছেন ওই শিশুর মা।
ভুক্তভোগী রিপন ওই গ্রামের সীমা রানীর ছেলে।
শুক্রবার সকালে শিশুটির জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আমিরুল ইসলাম।
সীমা রানী বলেন, রিপন কুড়িপাইকা মিয়াবাড়ী
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে প্রায়ই সহপাঠী
মোহাইমিনের বাড়িতে যেত। ২৪ জুলাই স্কুল থেকে মোহাইমিনের বাড়ি যায় রিপন। আমি
ছেলেকে আনতে গেলে মোহাইমিনের মা হেলেনা বেগম রিপনকে রিরিয়ে দিতে টালবাহানা
করেন। এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। বাধ্য হয়ে ৩১ জুলাই
কাশিপুরের কাওসার মল্লিক ও হেলেনা বেগমকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণের অভিযোগ করি। আদালতের নির্দেশে রিপনকে উদ্ধার
করতে গেলেও পটুয়াখালী সদর-বাউফল উপজেলার সীমানা জটিলতার কারণে ব্যর্থ হয়
পুলিশ।
বাউফল থানার এসআই মৃণাল চন্দ্র শিকদার বলেন,
শিশুটিকে কাশিপুরের একটি মসজিদে দেখা গেছে। পরে জানতে পারি তাকে মুসলমান
বানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে অপহরণকারীরা শিশুটিকে থানার সামনে ছেড়ে
দেয়। তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান
বলেন, উদ্ধারের পর শিশুটি জানায় সে ইসলাম গ্রহণ করেছে। বিষয়টি খুবই
স্পর্শকাতর। সময় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করি, সঠিক সমাধান খুঁজে পাওয়া
যাবে।
copy.......ডেইলি বাংলাদেশ
0 coment rios: