বলরাম দাশ অনুপম, কক্সবাজার থেকে ॥ ৬ আগষ্ট তীব্র যানজটে কাবু হয়ে পড়েছে কক্সবাজার শহরবাসী। বিশেষ করে টমটম জট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। পাশাপাশি মাহিন্দ্র, রিক্সা, সিএনজি, বিভিন্ন মালবাহী যানবাহনের মাত্রারিক্ত চলাচলের কারণে যানজটের মাত্রা বেড়েই চলেছে। কোন ভাবেই যেন থামছে না পর্যটন শহর কক্সবাজারের শহরের যানজট। ট্রাফিক পুলিশের সদস্য বাড়ানোর পরও যেন নিয়ন্ত্রণে আসছে না শহরবাসীর দীর্ঘদিনের নাগরিক সমস্যা যানজট। তবে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে যানজটের জন্য দায়ী করা হচ্ছে টমটমের সংখ্যা বৃদ্ধি, রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশা আর ফুটপাত দখলকে। যানজটে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় ও বাইরে থেকে আসা লোকজনকে। শুস্ক মৌসুমে রৌদ্রের তীব্রতা আর বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির সাথে যানজটের মাত্রা অসহনীয় করে তুলে শহরবাসীর নিত্য নৈমত্তিক জীবন যাত্রাকে। বছর জুড়েই পর্যটন শহরের প্রধান সড়কের যানজট লেগে থাকলেও বর্তমানে সেই যানজটের রং ছড়িয়েছে শহরের অলি-গলিতে। শুধ প্রধান সড়ক নয় অলি-গলিতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে বর্তমান সময়ে।
টমটমের পাশাপাশি বর্তমানে ব্যাটারী চালিয়ে রিক্সায় যানজট আরো বেড়ে গেছে। এতে করে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে শহরবাসী। একদিকে বৃষ্টি আর গরমের তীব্রতা অন্যদিকে মারাত্মক যানজট সবমিলিয়ে ভোগান্তিটা যেন বেড়েই চলেছে। যানজটে নাকাল শহরবাসীকে ১০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট। সকাল থেকে দুপুর আবার বিকাল থেকে রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত শহরের বাজারঘাটা, লালদিঘীর পাড়, ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্প, বার্মিজ মার্কেট, বড় বাজার, এন্ডারসন রোড, হাসপাতাল সড়ক এসব এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। এতে করে যেমন করে মানুষ কর্ম ঘন্টা নষ্ট হচ্ছে, ঠিক তেমনি ভাবে নষ্ট ব্যাঘাত ঘটছে মানুষের নিত্য নৈমত্তিক কর্মকান্ডেও। শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকা থেকে টমটমে করে লালদিঘীর পাড়ে আসার সময় কথা হয় শহরের পাহাড়তলী এলাকার বৃদ্ধ আবুল হাসেমের সাথে। যানজট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছোট্ট এই শহরে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত টমটম বেড়ে গেছে। তার সাথে যোগ হয়েছে সিএনজি, মাহিন্দ্রা, রিক্সাসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের চলাচলের সংখ্যা। ফলে যানজটের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করেছে। ঘোনারপাড়ার বাসিন্দা ছৈয়দুল করিম বলেন-টমটম আর যানজটের শহরে পা ফেলায় যেন আজন্ম পাপ হয়েছে। শহরের লালদিঘীর পাড় থেকে বার্মিজ মাকের্ট পর্যন্ত পথটি পাড়ি দিতে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় লেগে যায়। আর যারা আদালতে মামলায় হাজিরা দিতে আসেন বা অফিসের কাজে আসেন তারা কখনোও সময়মতো পৌঁঁছতে পারছেন না বলেও অনেকের অভিযোগ। কক্সবাজার ট্রাফিক বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বাবুল চন্দ্র বণিক জানান-যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। তবে সড়কের সাম্প্রতিক সময়ে চাহিদার চেয়ে টমটমের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া, ফুটপাত দখল আর সড়কের বেহাল দশার কারণে যানজট বাড়ছে। ------------------ বলরাম দাশ অনুপম কক্সবাজার প্রতিনিধি মোবাইল ঃ ০১৮১৮-২০৫৭৬৩।
0 coment rios: