Thursday, July 25, 2019

আনোয়ারায় ঝুঁকিতে বরকল সেতু ভাঙতে পারে যেকোন মুহূর্তে


দুই যুগ ধরে অস্থায়ী বরকল সেতু দিয়ে যানচলাচল করছে ঝুঁকিপূর্ণভাবে। চট্টগ্রামের আনোয়ারা-চন্দনাইশের সংযোগ সেতু এই বরকল বেইলি ব্রিজ দিয়ে যান চলাচল হচ্ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সেতুটির লোহার স্প্যান ভেঙ্গে পড়েছে। যে কোন মুহূর্তে ভেঙে ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন দীর্ঘ দুই যুগেও এ সেতুটি পূর্ণাঙ্গ রূপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে।
জানা যায়, ১৯৯৩-৯৪ অর্থ-বছরে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল আনোয়ারা উপজেলা ও চন্দনাইশ উপজেলা সংযোগ সেতু নামে পরিচিত বরকল সেতুটি। ৩৬৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ও ১২ ফুট চওড়া এ সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৯৪ সালে। বছরটির প্রথম দিকেই সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় সেতুটি। এ সেতুটিতে তিনটি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছিলো।
সংশ্লিষ্টদের মতে, এ সেতুটি অস্থায়ী ভিত্তিতে নির্মাণ করা হয়, একটি পূর্ণাঙ্গ সেতুর জন্য। নির্মাণের দুই যুগ অতিবাহিত হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ সেতুতে রূপ নেয়নি বরকল সেতু। আনোয়ারা ও চন্দনাইশ উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এ সেতুটি। কোন কারণে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে আনোয়ারার সাথে চন্দনাইশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এ সেতু দিয়ে চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী, বরমা, বরকলের অর্ধশতাধিক যাত্রীবাহী বাস, শতশত সিএনজি ট্যাক্সি, প্রাইভেট কার, মাইক্রো, নোহা, ইউরিয়া ফার্টিলাইজারের সারভর্তি ট্রাক চলাচল করে ঝুঁকিপূর্ণভাবেই।
এ সেতু দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন চালকেরা জানিযেছেন, ভাঙা স্প্যানগুলোতে আটকে চলাচলের সময় গাড়ির টায়ারসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে।

সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ ধরনের সেতু এক থেকে দেড় বছরের জন্য অস্থায়ীভবে নির্মাণ করা হয়। জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে এ ধরনের সেতুগুলো করা হয়। বরকলের এ অস্থায় সেতু দিয়েই ঝুঁকিপূর্ণভাবে যান চলছে চব্বিশ বছর ধরে। তিন স্প্যানের সংযোগ স্থেল থেকে স্প্যানগুলো সরে গিয়ে মধ্যখানের লোহার বারটি ভেঙ্গে গেছে। এ ধরনের সেতুর উপর দিয়ে সর্বোচ্চ ১০ টন ভারি যানবাহন চলাচল করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে সেতুটির ওপর দিয়ে অধিক ওজনের মালামালবাহী গাড়ি চলাচল করছে অবাধে। এ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সেতুটির লোহার স্প্যান ভেঙ্গে পড়েছে। যে কোন মুহূর্তে ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা জামশেদুল আলম বলেন, বর্তমানে সেতুটির স্প্যান ভেঙ্গে গিয়ে আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যানবাহন চলাচল করতে ভয় পাচ্ছে। সেতুটি এ অবস্থায় থাকলে যে কোন মুহূর্তে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, ‘সেতুটির বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগকে জানানো হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই সেতুটির সংস্কারের কাজ শুরু হবে।’

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: