সর্বশেষ

Monday, September 1, 2025

পেটের টানে উজার হচ্ছে আগামীর অর্থনীতি

পেটের টানে উজার হচ্ছে আগামীর অর্থনীতি


গ্রামীণ পাহাড়ি এলাকার উপজাতিদের কাজ ও খাদ্যের অভাব আজ তাদেরকে এক অদ্ভুত বাস্তবতার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সংসার চালানোর টানে প্রতিদিনই তারা বনে-জঙ্গলে ছুটে যাচ্ছেন বাঁশকুড়ুল কুড়োতে। বিকল্প জীবিকার সুযোগ না থাকায় বাধ্য হয়েই এই কচি অঙ্কুর বিক্রি করছেন হাটে-ঘাটে, বাজারে কিংবা জাতীয় সড়কের ধারে।


অথচ তারা ভালো করেই জানেন, আজকের নগদ আয়ের টানে তারা আগামী দিনের বাঁশ সম্পদ ধ্বংস করে দিচ্ছেন। গ্রামীণ বাজার থেকে শহর পর্যন্ত সর্বত্রই এখন খোলামেলা ভাবে বিক্রি হচ্ছে বাঁশকুড়ুল। জাতীয় সড়কের ধারে কিংবা হাটবাজারে উপজাতি রমণীদের ঝুড়িভর্তি বাঁশকুড়ুল বিক্রি করতে দেখা এখন আর অস্বাভাবিক কিছু নয়। পাহাড়ি অঞ্চল ছাড়াও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বাঁশকুড়ুল বা বাঁশের কচি অঙ্কুর হয়ে উঠেছে এক জনপ্রিয় খাদ্য উপাদান। উপজাতি পরিবারগুলির কাছে এটি একদিকে ঐতিহ্যবাহী রান্নার উপকরণ, অন্যদিকে তাৎক্ষণিক আয়ের উৎস। বাজারে প্রতি কেজি বাঁশকুড়ুল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এক কেজিতে প্রায় ২০-২৫টি বাঁশকুড়ুল পাওয়া যায়। অথচ জানাই আছে, এক বছর পর এই কচি অঙ্কুরগুলি পূর্ণতা পেলে বাঁশের বাজারমূল্য দাঁড়ায় গড়ে ৯০ -১০০ টাকা প্রতি পিসে। অর্থাৎ আজ যে বাঁশকুড়ুল ৬০/৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, তা পরের বছর ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকার সমান হতে পারতো!  বাঁশকুড়ুল সংগ্রাহকদের বক্তব্য, বিকল্প জীবিকার সুযোগ নেই বলেই তারা বাধ্য হয়ে প্রতিদিন বন থেকে বাঁশকুড়ুল কুড়িয়ে আনেন।


সংসার চালানোর জন্য নগদ অর্থের প্রয়োজন, তাই সবকিছু জেনেও তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ আয়ের পথ কেটে দিচ্ছেন। পাহাড়ি এলাকায় কাজ এবং খাদ্যাভাব প্রকট হওয়ায় এই ব্যবসাই হয়ে উঠেছে উপজাতি অনেক পরিবারের একমাত্র ভরসা।


বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বিচারে বাঁশকুড়ুল বিক্রির ফলে পার্বত্য অঞ্চল গুলোতে বাঁশ উৎপাদন ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে দীর্ঘমেয়াদে শুধু পরিবেশ নয়, দেশের অর্থনীতিও ধাক্কা খাচ্ছে। অথচ সরকারী জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বরত দের সামনেই এভাবে বাঁশকুড়ুল বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু কোনও পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।


বাঁশ উৎপাদন বাড়িয়ে পাহাড়ি মানুষদের অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করা মতো উদ্যোগ নেওয়ার কেউ নেই। 


কৃষি ও বনজ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি বাঁশকুড়ুল সংগ্রহ নিয়ন্ত্রণ করে বাঁশবাগান গুলিকে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়, তবে পাহাড়ি অঞ্চলের অর্থনীতি বহুগুণ শক্তিশালী হতে পারে। বাঁশ থেকে কাগজ, আসবাব, হস্তশিল্প, নির্মাণসামগ্রীসহ নানা শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন দূরদর্শী পরিকল্পনা ও সরকারী উদ্যোগ।


আজকের টুকরো আয়ের টানে পাহাড়ি মানুষজন নিজেরাই ধ্বংস করছেন আগামীদিনের বড় সম্পদ। অথচ সরকার চাইলে বাঁশকুডুলের নিয়ন্ত্রিত সংগ্রহ, বিকল্প কর্মসংস্থান এবং বাঁশভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলে পুরো অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে পারতো। প্রশ্ন হচ্ছে, কে নেবে এই উদ্যোগ?

Thursday, June 12, 2025

ইসরায়েলকে কঠিন পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে: আয়াতুল্লাহ খামেনি

ইসরায়েলকে কঠিন পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে: আয়াতুল্লাহ খামেনি

 

      ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ফাইল ছবি


তেহরানে হামলার জন্য ইসরায়েলকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ‘তিক্ত ও যন্ত্রণাদায়ক’ পরিণতির জন্য দেশটিকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন তিনি।


আজ শুক্রবার ভোররাতে তেহরানে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান হোসেইন সালামি ও দুই পরমাণু বিজ্ঞানীসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। হামলা অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।


হামলার প্রতিক্রিয়ায় আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি একটি বিবৃতি দিয়েছেন বলে আল জাজিরার লাইভে বলা হয়েছে। ইরানের সরকারি ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি (আইআরএনএ) বিবৃতিটি প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়, আজ ভোরে ইহুদিবাদী সরকার আমাদের প্রিয় দেশে নোংরা ও রক্তাক্ত হাত ব্যবহার করে অপরাধ করেছে। আবাসিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালিয়ে তারা তাদের আচরণ আগের চেয়েও বেশি প্রকাশ করেছে। এই সরকারকে কঠোর শাস্তি পেতে হবে। 


বিবৃতিতে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, শত্রুর আক্রমণে বেশ কয়েকজন কমান্ডার এবং বিজ্ঞানী শহীদ হয়েছেন। আল্লাহ চাইলে তাঁদের উত্তরসূরী এবং সহকর্মীরা অবিলম্বে তাঁদের দায়িত্ব পালন শুরু করবেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই অপরাধের মাধ্যমে ইহুদিবাদী সরকার নিজেদের জন্য একটি তিক্ত ও বেদনাদায়ক পরিণতির জন্য প্রস্তুত করেছে এবং এটি অবশ্যই ভোগ করতে হবে।


প্রতিবেদন বলছে, ভোররাত ৩টার দিকে হামলা হয়েছে। ছয় থেকে নয়টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন স্থানীয়রা। হামলা হয়েছে তেহরানের বেশ কয়েটি স্থানে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, রেভল্যুশনারি গার্ডের সদর দপ্তরে হামলা হয়েছে। হামলা হয়েছে নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনায়।


ইসরায়েলি পক্ষে বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে ইসরায়েল ও এর বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্রসহ ড্রোন হামলার আশঙ্কা থেকে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় আগাম প্রতিরোধমূলক হামলা চালানো হয়েছে।
হামলা অব্যাহত রাখারা ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, হামলা যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণই চালানো হবে। 

ইরানে হামলায় আমাদের হাত নেই, তবে পাল্টা হামলা হলে ইসরায়েলের পাশে থাকব: ট্রাম্প

ইরানে হামলায় আমাদের হাত নেই, তবে পাল্টা হামলা হলে ইসরায়েলের পাশে থাকব: ট্রাম্প

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি


তেহরানে হামলার প্রতিবাদে ইরান যদি হামলা চালায় তবে ইসরায়েলকে রক্ষায় তাদের পাশে থাকবে আমেরিকা। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছে এর পেছনে তাদের কোনো হাত নেই।
ফক্স নিউজের উপস্থাপক ব্রেট বেয়ার ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বললে তিনি ওই প্রতিক্রিয়া দেন বলে আল জাজিরার লাইভে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন বলছে, আজ শুক্রবার ভোররাত ৩টার দিকে তেহরানে হামলা হয়েছে। ছয় থেকে নয়টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন স্থানীয়রা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, রেভল্যুশনারি গার্ডের সদর দপ্তরে হামলা হয়েছে। হামলা হয়েছে নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনায়।

ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান হোসেইন সালামি ও দুই পরমাণু বিজ্ঞানীসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। এ হামলার পেছনে আমেরিকার হাত আছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান কঠোর বার্তা দিয়েছে। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ‘তিক্ত ও যন্ত্রণাদায়ক’ পরিণতির জন্য ইসরায়েলকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।

ফক্স নিউজকে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক বোমা নেই। আমরা আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আশা করছি। আমরা বিষয়টি দেখব। নেতৃত্বের এমন অনেক ব্যক্তি আছেন, যারা আর ফিরে আসবেন না।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইরান যদি প্রতিশোধ নেয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।’

ইসরায়েলি পক্ষে বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে ইসরায়েল ও এর বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্রসহ ড্রোন হামলার আশঙ্কা থেকে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় আগাম প্রতিরোধমূলক হামলা চালানো হয়েছে। হামলা অব্যাহত রাখারা ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, হামলা যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণই চালানো হবে।
যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণই ইরানে হামলা চলবে: বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণই ইরানে হামলা চলবে: বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

 


ইরানে হামলা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আজ শুক্রবার ভোররাতে দেশটির রাজধানী তেহরানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর পর এ কথা জানিয়েছেন তিনি।


আল জাজিরার লাইভে নেতানিয়াহুর বিবৃতির বরাত দিয়ে হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের ওপর হামলা ‘যতক্ষণ প্রয়োজন’  অব্যাহত থাকবে।


ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং সামরিক সক্ষমতা লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হচ্ছে। নেতানিয়াহু বলেন, এই অভিযান যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ অব্যাহত থাকবে, যতক্ষণ না আমরা মিশন সম্পন্ন করি এটা চলবে। 


আজ শুক্রবার ভোররাত ৩টারদিকে তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী।


তেহরানের স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ছয় থেকে নয়টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন তারা। হামলা হয়েছে শহরের বেশ কয়েটি স্থানে।

টিউলিপ ব্রিটেনের রাজনীতিতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ টের পেলেন ড. ইউনূস : গোলাম মাওলা রনি

টিউলিপ ব্রিটেনের রাজনীতিতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ টের পেলেন ড. ইউনূস : গোলাম মাওলা রনি



সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের রাজনীতিতে কতটা প্রভাবশালী এবং কতটা ইনফ্লুয়েনশিয়াল সেটা এবার হাড়ে হাড়ে টের পেলেন ড. ইউনূস। গোলাম মাওলা রনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যখন লন্ডন যাচ্ছিলেন তখন টিউলিপ সিদ্দিকের পক্ষ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিটি যেভাবে লেখা হয়েছে তা ড. ইউনূসের জন্য অবমাননাকর, অসৌজন্যমূলক। ড. মোহাম্মদ ইউনূসের যে বিশ্বজোড়া খ্যাতির কথা আমরা প্রচার করি, টিউলিপের চিঠির ভাষা এবং উদ্দেশ্য এই খ্যাতিতে রীতিমতো চপেটাঘাত।

আজ সকালে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে তিনি এ কথা বলেন। 

 

গোলাম মাওলা রনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মিডিয়া, বিশ্বমিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই চিঠি এবং চিঠির ভাষা রীতিমতো ভাইরাল। ড. ইউনূস টিউলিপ সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করবেন কি না, ডিনার বা লাঞ্চে অংশ নেবেন কি না তা নিয়ে গত কয়েক দিন বেশ আলোচনা হয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিকী ড. ইউনূসের নাতির বয়সী।

এখন নাতির বয়সী একটা ব্যক্তির সঙ্গে যখন তাকে সমান্তরালে নামিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করা হয়, গ্রেডিং দেওয়া হয়, এর অর্থ ড. ইউনূসকে নিচে নামানো হলো এবং টিউলিপ সিদ্দিকীকে ওপরে তোলা হলো। 

সাবেক এই সংসদ সদস্য আরো বলেন, ড. মোহাম্মদ ইউনূস ইংল্যান্ড সফর, সফরে তিনি পুরস্কার পাচ্ছেন, সঙ্গে বিরাট লটবহর নিয়ে গেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর গেছেন, তার যেসব ম্যাজিক্যাল বয় রয়েছে— লুৎফে সিদ্দিকী রয়েছেন, আরো যাদের তিনি নিয়ে গেছেন ইনক্লুডিং তার প্রেসসচিব ‘মহামান্য’ শফিক সাহেব। এই সব কিছুর চেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকীর ওই চিঠির ওজন বেশি হয়ে গেছে। ওই চিঠির গুরুত্ব বেশি হয়ে গেছে।

Monday, June 24, 2024

ক্লাইন্ট ফারিয়াকে মামলায় সাহায্য করে ব্লাকমেইলের শিকার আইনজীবী মৃন্ময় কুন্ডু তপু।

ক্লাইন্ট ফারিয়াকে মামলায় সাহায্য করে ব্লাকমেইলের শিকার আইনজীবী মৃন্ময় কুন্ডু তপু।


যৌতুক মামলায় সাহায্য করায় আইনজীবী মৃন্ময় কুন্ডু তপুর প্রতি আকর্ষিত হয় ফারিয়া আক্তার বনানী। প্রতিবেশী হওয়ায় আইনজীবী ক্লাইন্ট সম্পর্কের বাইরেও সুসম্পর্ককে ফারিয়া অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিতে চায় বুঝতে পেরে মৃন্ময় সরে আসতে চাইলে বেপরোয়া ফারিয়ার ব্লাকমেইলের শিকার। অকৃতকার্য হয়ে প্রতারণা এবং সম্মানহানির চেষ্টা।

ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মৃন্ময় কুন্ডু তপু বলেন, আমি বিগত ২০১৮ সাল থেকে রেগুলার প্রাক্টিসরত রয়েছি। বিগত ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের দিকে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ এর অধীনে কাঁচপুর এলাকায় ফারিয়া আক্তার বনানী এবং আমি একই এলাকায় বসবাস করতাম। ফারিয়া আক্তার বনানী তার স্বামীর সাথে অনেকদিন যাবৎ চলমান একটি যৌতুক মামলা নিয়ে আমার সাথে আলোচনা করেন। একই এলাকায় বসবাস করার সুবাদে তিনি জানতেন আমি একজন আইনজীবী। একারনে তিনি আমাকে মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তি করার জন্য অনুরোধ জানালে, প্রতিবেশী এবং একজন আইনজীবী হিসাবে আমি তাকে সাহায্য করি। আমি অত্র মামলার আইনজীবীর সাথে যোগায়োগ করে ফারিয়াকে তার স্বামীর সংসারে পাঠিয়ে দেই। এর কিছুদিন পর ফারিয়ার সাথে তার স্বামীর পুনরায় মতবিরোধ হলে পুনরায় সে তার মায়ের সাথে কাঁচপুরে বসবাস করতে থাকে। সেসময় তিনি মাঝে মাঝে তার পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাকে নিমন্ত্রণ করতেন এবং সেসব ছবি সংগ্রহ করে রাখেন। একটা সময় ফারিয়া আক্তার বিভিন্ন ফোন কলের মাধ্যেমে আমাকে অবেগপ্রবণ কথা বলে গভীর সম্পর্ক তৈরি করে প্রেমের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করলে আমি বিষয়টি বুঝতে পেরে সর্ম্পক ছিন্ন করি ফারিয়া সেটা মেনে নিতে না পেরে প্রতারণা এবং সম্মানহানির ফাঁদ তৈরি করেন। ফারিয়া ভুয়া কাবিন নামা তৈরি করে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে তোলা বিভিন্ন ছবি আমার শশুরালয়ে প্রেরন করেন যেন আমার সদ্য শুরু।

হওয়া সুখী-দাম্পত্য জীবনে কলহ, বিবাদ সৃষ্টি হয়ে সংসার ভেঙ্গে যায়। কিন্তু আমি নিজের অবস্থানে শক্ত ভুমিকা রাখি এবং ফারিয়াকে সব প্রমাণ নিয়ে আমাদের বাড়িতে সবার সামনে আসতে বলি এতে তিনি পিছিয়ে যান। মৃন্ময় আরো বলেন, আমরা সবাই জানি ইসলাম ধর্ম মতে অন্য ধর্মের কারো সাথে কখনো মুসলিমের বিয়ে হয়না। প্রথমে অন্য ধর্ম থেকে আসা ব্যক্তিকে ধর্মান্তরিত হতে হবে তারপর ইসলাম শরিয়া মতে বিয়ে হবে। ফারিয়া আমার ধর্ম পরিবর্তনের হলফনামা বিহীন ভূয়া নাম ঠিকানা ব্যাবহার করে ২০২২ সালে বিবাহ করেছেন এই মর্মে জাল কাবিন তৈরি করেন। কিন্তু ২০২২ সালে তখনো তার স্বামীর বিরুদ্ধে চলমান। যৌতুকের মামলায় ২০২৩ সালের মার্চ মাসের দিকে বিজ্ঞ আদালতে তার দেওয়া সাক্ষ্য মোতাবেক তার স্বামীর সহিত বিবাহ চলমান রয়েছে। তারপরেও ফারিয়া আক্তার বনানী সহ আরো কিছু অঞ্জাতনামা ৩/৪ জন ব্যক্তি ষড়যন্ত্র করে সামাজিকভাবে আমার মান-সম্মানহানি করে চলেছেন। এমন হতে থাকলে একজন আইনজীবীর পক্ষে সেবা দান করা খুবই কঠিন হবে। তবে যেহেতু আমি পেশায় একজন বিজ্ঞ আইনজীবী তাই আমি এই প্রতারকগনের বিরুদ্ধে দ্রুতই আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো। মৃন্ময়ের প্রতিবেশি ব্যবসায়ী মোঃ আতাউর রহমান বলেন, আমি ও মৃন্ময় কুন্ডু তপু দির্ঘদিন যাবৎ কাঁচপুর এলাকায় একই বাসায় পাশাপাশি ফ্লাটে বসবাস করি। তিনি আমাদের এলাকায় উকিল দাদা হিসাবে পরিচিত এবং জনপ্রিয় বটে। তিনি দির্ঘ্য ১০ বছরের বেশি বসবাস করছেন। এবং ছাত্র জীবন পার করে পেশা জীবনে পর্দার্পন করেছেন ২০১৮ সালে। তিনি আমাদের এলাকায় খুবই সম্মানের সাথে বসবাস করছেন তার বাবা ও বোনকে নিয়ে। তিনি এলাকার সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন এবং এলাকার করনা কালিন সম্মুখ যোদ্ধা ছিলেন। তার সদ্য বিবাহের পর থেকে তাকে ফারিয়া নামের একজন মহিলা বিভিন্ন ভাবে ব্লাকমেইল করছে যাহা আমি বহুবার প্রতিবাদ করেছি। আমার জানামতে তপু উকিল এই ফারিয়ার স্বামীর সাথে ২টি মামলা নিষ্পত্তি করেছেন ফারিয়ার অনুরোধে। তার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ


সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী সুব্রত দাশ বলেন, মৃন্ময় কুন্ডু আমার সহকর্মী। আমরা দির্ঘদিন যাবৎ এক সাথে এই পেশায় রয়েছি। আমার জানামতে ফারিয়া আক্তার বনানী মৃন্ময় কুন্ডু তপুর ক্লাইন্ট। তপু ফারিয়ার ২ টি মামলা পরিচালনা করেছেন। তার সরলতার সুযোগ নিয়ে ফারিয়া প্রতারনা ও ব্লাকমেইল করছেন। যদি মৃন্ময় কুন্ডু তপু এই বিষয় নিয়ে কোনরূপ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করে তাহলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে সকল ধরনের সাহায্য করবো। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোটের আরেকজন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম বলেন, মৃন্ময় কুন্ডু তপু আমার সহকর্মী এবং বন্ধুবর। আমরা দির্ঘদিন যাবৎ এক সাথে এই পেশায় রয়েছি। আমার জানামতে ফারিয়া আক্তার বনানী মৃন্ময় কুন্ডু তপুর ক্লাইন্ট। তপু ফারিয়ার ২ টি মামলা পরিচালনা করেছেন। তপুর দুর্বলতা হলো তার সরলতা। এত সরল বলেই ফারিয়া প্রতারনা ও ব্লাক মেইল করছেন। কোর্টে আমরা এরকম নানা বহরুপি দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। ফারিয়া প্রথম খ্রিষ্টান স্বামীর সাথে সংসার করতে না পেরে ডিভোর্স দিয়ে আরেকটা মুসলিম ছেলেকে বিয়ে

করে। তার সাথেও মিলতে না পেরে এখন সিধেসাধা মৃন্ময়ের পেছনে পড়েছে যেন এরকম করে কিছু টাকা হাতাতে পারে। কিছু মেয়েরা বিয়েকে একটা ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে। জাল কাবিননামা তৈরি করে পারিবারিক হ্যারেজমেন্ট করার জন্য মৃন্ময়কে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এই বিষয় নিয়ে যদি সে আইনগত পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে সব রকম সাহায্য করবো। এরকম মেয়েদের কঠিন শাস্তি পাওয়া উচিত।

Monday, May 6, 2024

চট্টগ্রামে মানবাধিকার কর্মীর নামে বিভিন্ন ফেইক আইডি খুলে উস্কানিমূলক পোস্ট এর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

চট্টগ্রামে মানবাধিকার কর্মীর নামে বিভিন্ন ফেইক আইডি খুলে উস্কানিমূলক পোস্ট এর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

 

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী জুয়েল আইচ এর নামে একটি বিশেষ মহল তাঁর ছবি ও মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে তাঁর নামে বিভিন্ন ফেইক আইডি খুলে নানান সাম্প্রদায়িক উস্কানি সহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করার কারণে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানায় একটি জিডি দায়ের করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের সাংবাদিক জুয়েল আইচ সম্প্রতি থানায় নিরাপত্তা চেয়ে ও সুষ্ঠু তদন্তক্রমে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছেন।

উল্লেখ্য যে, একটি বিশেষ গোষ্ঠী তাঁর নামে বিভিন্ন ফেক আইডি খুলে সাম্প্রদায়িক উস্কানি সহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করে সমাজে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হচ্ছে বলে তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন। এমনকি তাঁকে হত্যার হুমকি পর্যন্ত প্রদান করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।


সাম্প্রতিক সময়ে তিনি কলি যুগের তীর্থক্ষেত্র চন্দ্রনাথ ধামে একটি বিশেষ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী নানাভাবে উস্কানি মূলক পোস্ট ও অবাধ যাতায়াতের কারণে তাঁর লেখালেখি ,সর জমিনে বাধা প্রদান ও বিভিন্ন ধরনের ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে তাঁর শক্ত অবস্থান থাকার কারণে তাঁকে টার্গেট করে বিভিন্ন ধরনের উস্কানি মূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।