উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:
নড়াইল
জেলার লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের শিয়ারবর গ্রামের মৃত সালাম শেখের
ছেলে আব্দুল্লাহ দ্বিতীয় বিয়ে করায় তার প্রথম স্ত্রী খুশি বেগম ১৯/ এক
বছরের পুত্র সন্তানের জননী স্বামীর বাড়িতে শোয়ার ঘরে ডাপের সাথে ওড়না
পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ১৪ডিসেম্বর মঙ্গলবার
আনুমানিক দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় স্বামী-স্ত্রীর কলহের জেরে এই আত্মহত্যার
ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। মৃত খুশি বেগম এর মা,রুপালী বেগম,ও বাবা দেলোয়ার
মোল্লার সাথে কথা বলে জানা যায়, তিন বছর আগে শিয়ারবর গ্রামের মৃত সালাম শেখ
এর ছেলে আব্দুল্লার সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়,বিয়ের দুই বছর পরে খুশির
পেটে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়,এর কিছু দিন পরে স্বামী আব্দুল্লাহ তার
কর্মস্থল গোপালগঞ্জে গোপন একটি বিবাহ করেন। মৃত খুশির মা আরো বলেন আমার
মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না,সে সোমবার রাতে ও আমার সাথে কথা বলেছে। জানা
যায়, আব্দুল্লাহ গোপালগঞ্জে ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এবং
সেই খানে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। আব্দুল্লার এই দ্বিতীয় বিবাহর পর থেকে শুরু
হয় খুশির সংসারে অশান্তির ঝড়, মাঝে মাঝেই হতো খুশির উপরে শারিরিক
নির্যাতন,তার সর্বশেষে বেছে নিতে হয় খুশি কে আত্মহত্যার পথ। মৃত খুশি বেগম
এর মামা রমজান শেখ জানান আমার বোন কে ফরিদপুরে বোয়ালমারীর ছত্তর কান্দা
গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের সাথে বিবাহ হয়, খুশির জন্মের পরে তাকে আমরা লালন
পালন করে বড় করেছি, এর পরে আব্দুল্লার সাথে তাকে বিবাহ দেই, বিবাহের পরে
আমরা আব্দুল্লাহ কে তিন বারে দেড় লক্ষ টাকা ও সোনা গয়না দিয়েছি,যাতে
আমার ভাগনিটা ভালো থাকে,কিন্তু সে আমার ভাগনি কে মাঝে মাঝে মারধর করে, এরপর
জানতে পারি সে দ্বিতীয় বিবাহ করে।
রমজান আরো বলেন
এই দ্বিতীয় বিবাহ আব্দুল্লা করাই আমার ভাগ্নির জীবন টা শেষ হয়ে গেছে,এখন
আব্দুল্লার পরিবার ও শিয়েরবরের মেম্বার ধলু আমাদের বলতেছেন ১ লক্ষ২০ হাজার
টাকা ও খুশির ছেলে কে বাড়ির জমি লিখে দিচ্ছি তোমরা মামলা না করে মিট করে
নেও,
এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন,
জানান খবর পেয়ে মৃত লাশ থানায় আনা হয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর
হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যাবে হত্যা বা
আত্মহত্যা,এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়ের হয় নাই, ওসি আরো জানান মামলা
করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
0 coment rios: