Saturday, May 22, 2021

নির্মাতাও জানেন না কেন ভাইরাল : কাকলী ফার্নিচার



দামে কম মানে ভালো, কাকলী ফার্নিচার’ মাত্র ৬ শব্দের দেশের একটি সাধারণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্যাগলাইন সংযুক্ত বিজ্ঞাপন নিয়ে তোলপাড় চলছে নেট দুনিয়ায়। বিশেষ করে কলকাতায় ভিজুয়াল ডিভাইসগুলোতে বিজ্ঞাপনটির দর্শক বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। এক কথায় এই ট্যাগলাইন এখন ভাইরাল। করোনাসৃষ্ট এই মহামারির সময়ে অনেকে ঠাট্টা করে একে ‘কাকলী ভাইরাস’ও বলছেন!



এই বিজ্ঞাপন এবং এর পেছনের গল্প বলেছেন কাকলী ফার্নিচারের স্বত্বাধিকারী এস এম সোহেল রানা। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় দোকানটি অবস্থিত। রানা অনেক দিন থেকেই ভাবছিলেন তার ফার্নিচারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য আরো প্রচার প্রয়োজন। সেই ভাবনা থেকেই বিজ্ঞাপন বানানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। একদিন তার প্রতিষ্ঠানে এক গ্রাহক পরিবার নিয়ে আসেন। তাদের সঙ্গে ছিল ছোট্ট দুই মেয়ে। এখান থেকেই রানা পেয়ে যান বিজ্ঞাপন-ভাবনা।\





বিজ্ঞাপনটি স্থানীয়ভাবে প্রচারের পরপরই জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। যদিও নেট দুনিয়ায় বিজ্ঞাপনের ট্যাগ লাইন হাস্যরসাত্মক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে মিম তৈরির মাধ্যমে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিবিদ কাকলী ঘোষ দস্তিদারের নামের সঙ্গে বিজ্ঞাপনটি জড়িয়ে ট্রল করা হলে এটি সবার নজরে আসে। বাস্তব অবস্থা জানতে বুধবার রাতে (১৯ মে) গুগোল, ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায় বিজ্ঞাপনটি ৫ মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। বিভিন্ন ইউটিউবার সময়ের আলোচিত বিষয় হিসেবে ভাইরাল হওয়া বিজ্ঞাপনটি নিয়ে নতুন করে ভিডিও বানাচ্ছেন। এগুলোও ছড়িয়ে পড়ছে নেট দুনিয়ায়।

কলকাতাভিত্তিক একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যায়, বিজ্ঞাপনের খণ্ডিত অংশ ব্যবহার করে হাস্যরস যুক্ত করে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিউ এক মিলিয়ন। আবার অন্য একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যায় বিজ্ঞাপনটির অডিও অংশটুকু অন্য একটি জনপ্রিয় ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। নিছক আনন্দ নিতে অনেকে এগুলো দেখছেন। মি. বিনের ভিডিওর সঙ্গে বিজ্ঞাপনের ট্যাগলাইন অনেকের হাসির খোরাক জুগিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে রানা বলেন, আমি বুঝতেও পারিনি বিজ্ঞাপনটি এভাবে ভাইরাল হবে। আমি শখের বসে কাজটি করেছিলাম। এটি আমার প্রফেশন নয়। কিন্তু এখন দেখছি কলকাতায় এটি ব্যাপক প্রচার পেয়েছে।









শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: