
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মামলার প্রধান আসামি সালাউদ্দিন গাজীকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, রুবেল সওদাগর ও নাজমুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় হৃদয় আহসান, বাদল কৃষ্ণ রায় ও সোহেল খানকে বেকসুর খালাশ দেয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পরে বরগুনা পৌরসভার শহীদ স্মৃতি সড়কের সুবল চন্দ্র রায়ের ছেলে অনিককে (১৭) কোমল পানীয়র সাথে চেতনানাশক খাইয়ে ডিস লাইনের ক্যাবল তার গলায় বেধে ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে অনিকের মরদেহ বরগুনা জেলা সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের পুরাতন ভবনের পাশে সেফটিক ট্যাংকির ভিতরে ফেলে রাখে। অনিককে হত্যার পরেরদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অনিকের বাবা সুবল চন্দ্র রায়কে মোবাইল করে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করা হয়। অনিক হত্যার ৩ দিন পরে তার বাবা সুবল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে একাধিক আসামি গ্রেফতার হলে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ি হত্যার আঠারো দিন পরে ৫ অক্টোবর রাত আটটার দিকে সেফটিক ট্যাংকির ভিতর থেকে অনিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মামলার দীর্ঘ শুনানী ও ৩৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আজ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রায় ঘোষণ্ড করেছেন।
0 coment rios: