Wednesday, August 7, 2019

উজিরপুরে সংখ্যালঘুর পরিবারের জোরপূর্বক সম্পত্তি দখল



অনলাইন ডেস্ক বরিশালের উজিরপুর উপজেলা ও পৌর সদরের অবস্থিত অবসরপ্রাপ্ত পোষ্ট মাষ্টার প্রয়াত দেবতোষ চন্দর পৈত্রিক রেকর্ডিয় বসত বাড়ির পুকুর বালু দিয়ে অবৈধ ভাবে ভরাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ভুমিদস্যু অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে প্রয়াত দেবতোষ চন্দ’র পুত্র মাইনরিটি রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ’র উজিরপুর উপজেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক এবং জাতীয় দৈনিক “সংবাদ” পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক কল্যান কুমার চন্দ, গতকাল ৪ আগষ্ট বরিশালের জেলা প্রশাসক, উজিরপুরের সহকারী কমিশনার ( ভুমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট এঘটনায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন৷
সাংবাদিক কল্যান চন্দ জানান, জে এল ৯২ নং উজিরপুর মৌজার এস এ খতিয়ান নং ৮৩২,এবং ৭৪৪ নং দাগে ১ একর ৬২ শতাংশ জমি আমার পিতা প্রয়াত দেবতোষ চন্দ’র পৈত্রিক রেকর্ডিয় সম্পত্তি। ওই জমি ভিপি সম্পত্তির তালিকায় না থাকলেও ভুমি অফিসের দুর্নিতীবাজ কর্মচারিদের সাথে অবৈধভাবে যোগ সাজস করে কিছু প্রভাবশালী ভুমিদস্যুরা ১৯৮৭ সালে ডিসিআর কেটে রাতের আধারে বাড়িটি দখল করে নেয় এবং বৃটিশ আমলে নির্মিত সেখানে থাকা একটি বড় পাকা দ্বিতল ভবন ও একটি পাকা দুর্গা মন্দিরের ভবন ভুমিদস্যুরা ভেঙ্গে বিক্রী করে আত্মস্বাৎ করেছে, সেই সাথে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার বড় বড় পুরনো রেন্ট্রি গাছ বিক্রী করেও তা আত্মস্বাৎ করেছে ।
২০১২ সালে প্রকাশিত ” ক” গেজেটে উক্ত সম্পত্তি ভিপি লিষ্টেড হলে ওই সময়ই প্রয়াত দেবতোষ চন্দ বাদী হয়ে বরিশালের অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন ট্রাইবুনালে ভিপি ১৩/২০১৪ নং মকদ্দমা দায়ের করেন, যা বিজ্ঞ আদালতে চলমান রয়েছে৷
অন্যদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনারও কঠোর নির্দেশনা রয়েছে যে, কোথাও কোনো জলাশয় ভরাট করা বা জলাশয়ের যোগাযোগ ব্যাবস্থা বন্ধ করা যাবে না। দখলদারেরা নিজেরা আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সকল প্রকার আইন কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইচ্ছাখুশি কাজ করে যাচ্ছে।
এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট আদালত বা উপজেলা ভুমি কর্মকর্তার লিখিত নির্দেশ না নিয়েই দখলদারেরা অবৈধভাবে বালু ফেলে পুকুরটি ভরাট করে ফেলার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে৷
প্রয়াত দেবতোষ চন্দ’র স্ত্রী মমতা রানী চন্দ ও তার ছেলে সাংবাদিক কল্যাণ কুমার চন্দ জানিয়েছেন উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার জাকির হোসেন ও ভিপি সেকশনের দেলোয়ার হোসেনের যোগ সাজসে বিগত ২০১৭ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝুমুর বালাকে উৎসাহিত করে মহামান্য হাইকোর্টের চিরস্থায়ী নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে তাদের পৈত্রিক ভিটেবাড়ির ৮০ শতাংশ জমি এই ভুমিদস্যুরা বিভিন্ন জনের নামে ডিসিআর কেটে নিয়েছিলো। পরে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝুমুর বালা সহ ৮ জনের নামে মহামান্য হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করে ডিসিআর বাতিল করাতে হয়েছিলো৷

এ বিষয়ে উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি) মোঃ মাহবুব উল্ল্যাহ মজুমদার বলেন, একটি প্রশিক্ষনে আমি ঢাকায় রয়েছি, বিষয়টি আমার জানা ছিল না, তবে সাংবাদিক কল্যাণ কুমার চন্দ’র লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে ভুমি অফিসের লোক পাঠিয়ে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছি।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: