
পুকুরের মালিক রণজিত কুমার জানান, পুকুরে ছোট মাছ ধরার জন্য ৬ জেলেকে নিয়ে আসেন তিনি। কথা ছিল পুকুরের মালিক নেবেন মাছের ৭০ শতাংশ এবং জেলেরা পাবেন ৩০ শতাংশ। রোববার ভোর থেকে জেলেরা পুকুরে মাছ ধরছিলেন। মাছ ধরার সময় তিনটি বড় মাছ তারা গোপনে বস্তার মধ্যে রেখে দেন। পরে পুকুরের মালিক বিষয়টি বুঝতে পেরে বস্তা দেখতে চাইলে জেলেরা রাজি হচ্ছিলেন না। একসময় তারা দৌড় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এতেই ঘটে বিপত্তি। গ্রামের লোকজন ছেলে ধরা বলে চিৎকার দিয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। পরে তাদের ধরে গণপিটুনি দেয়।
রণজিত আরো বলেন, তারা প্রকৃত জেলে। মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। ভুল-বোঝাবুঝি হওয়ায় এলাকাবাসী তাদের ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ গ্রামবাসীর হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
গণপিটুনির শিকার মৎস্যজীবী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মাছ ধরে বস্তায় করে বাজারে যাচ্ছিলাম। তখন গ্রামের লোকজন হঠাৎ করে ছেলে ধরা বলে আমাদের পিটুনি দিতে থাকে।’
0 coment rios: