Tuesday, July 23, 2019

যেভাবে গ্রেফতার হলেন এনামুল বাছির

যেভাবে গ্রেফতার হলেন এনামুল বাছির
এনামুল বাছির; ফাইল ফটো

দুর্নীতির মামলায় সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি ( উপ-মহাপরিদর্শক) মিজানের থেকে  ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে মামলা দায়েরের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। টানা ৩ দিন অভিযানের পর গতকাল সোমবার রাতে তাকে তার ভাগ্নির দারুস সালামের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এনামুল বাছির দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে দুদক থেকে বরখাস্ত হন। আর ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণের পর গত ১৬ জুলাই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
এনামুল বাছিরকে গ্রেফতারে নেতৃত্ব দেন দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লা। তিনি এই ঘুষের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, গত ১৬ জুলাই মঙ্গলবার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা দায়েরের পর থেকেই তিনি আত্মগোপন করেন। তার মিরপুর থানা এলাকার বাসভবনে আসতেন না তিনি। নিজের ফোন বন্ধ রেখেছিলেন। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন অন্য কোন মোবাইল ফোন দিয়ে। ৫ দিন পর গতকাল তার স্ত্রীর সঙ্গে নতুন একটি সিম দিয়ে কথা বলেন তিনি। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন সিমের অবস্থান সনাক্ত করে দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। র‌্যাব-২ এর সহযোগিতায় দুদকের দল রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুরের দারুস সালামস্থ এনামুল বাছিরের ভাগ্নির বাসা শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এর পর বাসাটির চারিদিকে অবস্থান নেয় র‌্যাব ও দুদক কর্মকর্তারা। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসাটির কেয়ারটেকারের মাধ্যমে এনামুল বাছিরকে ঘিরে রাখার কথা জানানো হয়। এর কিছুক্ষণ পর তিনি বিস্কুট কালারের একটি হাফ সার্ট ও এ্যাশ কালার প্যান্ট পরে বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন।
দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লা তাকে নিয়ে প্রথম দারুস সালাম থানায় যান। সেখান থেকে তাকে দুদক ভবনে নিয়ে আসা হয়। এর পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে রমনা থানায় রাতের জন্য রাখা হয়।
আজ (২৩ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে এনামুল বাছিরকে দুদক কার্যালয়ে নিয়ে আসা হবে। সেখান থেকে মামলার ফরোয়ার্ডিং দিয়ে রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হবে।
যে অভিযোগ আনা হয়েছে এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে 
খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকার মধ্যে ২৫ লাখ টাকা ঢাকার রমনা পার্কে বাজারের ব্যাগে করে ডিআইজি (বরখাস্ত) মিজানের কাছ থেকে গ্রহণ করেন এবং অবশিষ্ট ১৫ লাখ টাকা পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে পাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। ছেলেকে স্কুলে আনা-নেয়ার জন্য তিনি গ্যাসচালিত একটি গাড়ি দাবি করেন। এছাড়া তিনি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবৈধভাবে পাচার করেন।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: