Sunday, July 28, 2019

ঈদযাত্রায় ভোগান্তির শঙ্কা


ঈদযাত্রায় ভোগান্তি নতুন কিছু নয়। স্বাভাবিক উৎসবের সময় সড়ক, রেল ও নৌ-যাতায়াত হয়ে পড়ে চরম ভোগান্তির। তার ওপর এবার যোগ হয়েছে বন্যা ও বর্ষণ। বন্যা ও বর্ষণে ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। আসন্ন ঈদযাত্রা নিয়েও বরাবরের মতো সঙ্কিত উত্তরাঞ্চলগামী যাত্রীরা। এ কারণে এবারের ঈদযাত্রায় বিশৃঙ্খলা, যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন।
জানা যায়, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গা ভাঙা-চোরা। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর নলকায় সরু সেতু মেরামত, রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা থেকে দত্তকুশা পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার পথে দুর্ভোগের আশঙ্কা রয়েছে। বগুড়ার শেরপুরের চান্দাইকোনা থেকে চারমাথা হয়ে শিবগঞ্জের রহবল পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটারের অনেক জায়গা বেহাল। বগুড়া-রংপুর সড়কের গোকুল, বাঘোপাড়া, মহাস্থান এলাকায় ইট বিছিয়ে সংস্কারকাজ চলছে।

হবিগঞ্জ, সিলেট ও মৌলভীবাজারের ১২টি জায়গায় আছে ছোট–বড় খানাখন্দ। কোথাও দেবে গেছে সড়ক। সেখানে যানবাহন চলতে হচ্ছে ধীরে ধীরে। সব মিলিয়ে ঢাকা–সিলেট মহাসড়কে এবারের ঈদযাত্রায় এটি দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে উঠতে পারে।
এছাড়া দেশের বিভিন্নস্থানে বন্যার পানি জমে থাকায় ট্রেনের সময়সূচিতেও বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাছাড়া লঞ্চ টার্মিনালে পৌঁছানো ও লঞ্চে ওঠার আগ পর্যন্ত নানান ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের।
এসব সঙ্গী করেই এবার ঈদে ঘরমুখী মানুষ রাজধানী ঢাকা ছাড়বে। যাত্রা-পূর্ব ও পথের কষ্ট-ভোগান্তি সত্ত্বেও যাত্রীরা বাড়ি যাবেন ঈদ আনন্দ নিয়ে। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে।
তবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি যান চলাচলের জন্য খুবই চমৎকার বলে দাবি করেছেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) কর্তৃপক্ষের সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া। তিনি বলেন, সিলেট জেলার যে দু–একটি অংশে টুকটাক খানাখন্দ রয়েছে, তা সংস্কারে কাজ শুরু হয়েছে।

কোরবানির ঈদে সাধারণত গাড়ির চাপ বেশি থাকে। ফলে যানজট বেশি হয়, মানুষের ভোগান্তি বাড়ে। তার কারণ হচ্ছে, ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের চাপ যেমন থাকে, তেমনি ঢাকামুখী পশুবাহী ট্রাকের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। যার ফলে অতিরিক্ত যানজটে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। অপরদিকে নদী ভরাট থাকায় লঞ্চ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ নৌসংকেতগুলো ভেঙে গেছে। খুব দক্ষ চালক না হলে পথ চেনা মুশকিল। অন্যদিকে জোয়ারের টানে কোথাও কোথাও চরের সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার নদীপথে চলাচলও অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: