
নারায়ণগঞ্জে মাদ্রাসার একাধিক আবাসিক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান জসিম নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার দুপুরে ফতুল্লার ভূঁইগর এলাকার দারুল হুদা আল ইসলাম মহিলা মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জসিম ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা এবং অধ্যক্ষ। এ নিয়ে গত এক মাসে নারায়ণগঞ্জেই এ ধরনের তিনটি ঘটনা ঘটল।
ঘটনার শিকার দুই মাদ্রাসাছাত্রীর বরাত দিয়ে গতকাল র্যাব-১১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন বলেন, ২৪ জুলাই ঘটনার শিকার এক মাদ্রাসাছাত্রী ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ জসিমের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাবের একটি টিম গোপনে তদন্ত করে এ বিষয়ের সত্যতা পায়। জসিম মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে তিনবার এবং আলিম শ্রেণির এক ছাত্রীকে একবার ধর্ষণ করেছে বলে র্যাব জানতে পেরেছে। র্যাবের তদন্ত টিমটি আরও জানতে পারে, অতীতে জসিমের বিরুদ্ধে এ ধরনের আরও অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু স্থানীয় একটি পক্ষ ওই সময় আর্থিক সুবিধা নিয়ে জসিমকে রক্ষা করে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও জানান, গত ২৭ জুন সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড হাইস্কুলের শিক্ষক আরিফুল ইসলাম এবং ৪ জুলাই ফতুল্লার মাহমুদনগর এলাকায় বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল আমিন ছাত্রীদের ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলে সেই সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তা দেখেই জসিমের ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীরা সাহস করে র্যাবের কাছে অভিযোগ করে।
ঘটনার শিকার আলিম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের জানায়, জসিম মাদ্রাসার ছোট মেয়েদের দিয়ে তার অফিস কক্ষে টার্গেট করা ছাত্রীদের ডেকে নিত। এরপর টুকটাক কাজ করার কথা বলে কৌশলে সে রুমের দরজা আটকে দিত এবং পেছন থেকে জড়িয়ে ধরতো। এরপর মুখ চেপে ধর্ষণ করত। ধর্ষণ শেষে এসব ঘটনা কাউকে না জানাতে শাসিয়ে ছেড়ে দিত। ঘটনার পর ওইসব ছাত্রী মাদ্রাসা ছেড়ে চলে যায়। যাওয়ার আগে বিষয়টি অধ্যক্ষ জসিমের স্ত্রীকে জানিয়ে যায়। জসিমের স্ত্রী এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলতে ছাত্রীদের অনুরোধ করে।
0 coment rios: