Saturday, July 27, 2019

নির্যাতন করে আমার মেয়ের স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে: মিন্নির বাবা


স্টাফ রিপোর্টার: বরগুনার আলোচিত রি ফাত শরীফ হ ত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহ ত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে নির্দোষ দাবি করে তার বাবা অভিযোগ করেছেন, নি র্যাতন করে মিন্নির স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর কাছে মিন্নি রিফাত হ ত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এরই প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের কাছে মিন্নির বাবা এ অভিযোগ করেন।
মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আমার মেয়ে নির্দোষ। তাকে নি র্যাতন শেষে আদালতে আনা হয়েছে। জোর করে তার স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক হুমায়ূন কবীরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, মিন্নিকে নি র্যাতনের অভিযোগ সত্য নয়। তিনি স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে মিন্নি কী বলেছেন সে সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন রিফাতকে প্রকাশ্য সড়কে কু পিয়ে হ ত্যার সময় স্বামীকে বাঁচাতে মিন্নির চেষ্টার ভিডিও ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ঘটনাটি সারাদেশে আলোচনায় উঠে আসে।
পরদিন শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফের বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর ১২ জনকে আসামি করে যে মামলাটি করেন, তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল মিন্নিকেই। পরে মিন্নির শ্বশুর তার ছেলের হ ত্যাকাণ্ডে পত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করলে আলোচনা নতুন দিকে মোড় নেয়। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার সকালে মিন্নিকে থানায় ডেকে নেওয়া হয়। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানান বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন।
এরপর বুধবার মিন্নিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ, আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনের মাথায় শুক্রবার দুপুর ২টায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য মিন্নিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।
পূর্বপশ্চিমবিডি-

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: